ডোমেইন হল ওয়েবসাইটের নাম বা ঠিকানা । ওয়েব জগতে অদ্বিতীয় নাম গুলি হল ডোমেইন নেম । যেমন : Yahoo.com, Wikipedia.com
বিশ্বের প্রথম ডোমেন হল symbolics.com । এটি Massachusetts computer company রেজিস্টার করেছিল Symbolicslnc. ১৫মার্চ,১৯৮৫সালে।
ডোমেইন এসর্ব নিম্নতিনটি অক্ষর থাকে আর সর্বোচ্চ ৬৩টি অক্ষর থাকে ।শুধু ইংলিশ অক্ষর, 0-9 পর্যন্ত সংখ্যা আর হাইপেন “-” ডোমেইন এর ভিতর ব্যবহার করা হয়।
একটি ডোমেন এর দুইটি অংশ থাকে। একটি হল ডোমেইন নেম, অপরটি হল ডোমেইন এক্সটেনশন।
যেমন : ফেসবুকের ডোমেইন facebook.com, যার ডোমেইন নেম facebook আর ডোমেইন এক্সটেনশন .com
বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইটে বিভিন্ন ধরনের ডোমেইন ব্যবহার করা হয়। যেমন : ব্যবসার জন্য .com, অর্গানাইজেশনএর জন্য . org নেটওয়ার্কিং এর জন্য . net ইনফরমেশনের জন্য . info
বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইটে বিভিন্ন ধরনের ডোমেইন ব্যবহার করা হয়। যেমন : ব্যবসার জন্য .com, অর্গানাইজেশনএর জন্য . org নেটওয়ার্কিং এর জন্য . net ইনফরমেশনের জন্য . info
উপরোক্ত ডোমেইন গুলো কেবলে টপ লেভেল ডোমেইন বা প্রিমিয়ার ডোমেইন।যা বিভিন্ন ওয়েবসাইটে ব্যবহারের জন্য ৮০০ – ২০০০ টাকা দিয়ে এক বছরের জন্য কিনে নিতে হয়।
এছাড়াও আরো কিছু ফ্রি ডোমেইন এক্সটেনশন আছে যা রেজিস্ট্রেশন করতে টাকা লাগে না। যেমন : . tk, .ml, .ga ইত্যাদি এইগুলো রেজিস্ট্রেশন করা যায় বিনা মূল্যে।
একটি ডোমেইন এর জন্য একটি হোস্টিং প্রয়োজন।একটি ডোমেইন মানে ইন্টারনেটে একটি স্থান দখল করা এবং এই ডোমেইনটিকে ২৪/৭ অনলাইনে রাখাও ভিজিটরদের দেখার উপযোগী করাই হল ওয়েবহোস্টিং।
কিছু হোস্টিং সাইটের ঠিকানা হল : godaddy.com, hostambit.com ইত্যাদি।
বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় ও প্রচলিত হোস্টিং হল শেয়ারড হোস্টিং। সাধারণত হোস্টিং প্রোভাইডাররা এইধরনের হোস্টিং অফার করে।তবে আনলিমিটেড ডাটাবেজ, ইমেইল ও ব্যান্ডওয়াইডথ এসব খুব সীমিত।
এই ধরনের হোস্টিং এর জন্য ডেডিকেটেড সার্ভার এর প্রয়োজন হয় এবং তা তুলনামূলক ব্যয় বহুল। তবে এই ধরনের হোস্টিং এসব ধরনের সুবিধা পাওয়া যায়।
এ ধরনের হোস্টিং এ খরচের পরিমান বেশি হয়। তবে এধরনের হোস্টিং প্রোভাইডারই নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবস্থাপনা করে।
এ ধরনের হোস্টিং এ খরচের পরিমান কম হয়। তবে এ ধরনের হোস্টিং ওয়েবসাইটের মালিকেরাই নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবস্থাপনা করে।
শেয়ারড আর ডেডিকেটেড হোস্টিং এর মাঝামাঝি হল ভিপিএস হোস্টিং। ভিপিএসহোস্টিং সাধারণত একটি ডেডিকেটেড সার্ভার কয়েক জনকে ভাগ করে দেয়। এই হোস্টিং ব্যবহারে কিছুটা অর্থ বেঁচে যায়।
ওয়েবসাইটে ASP (Active Server Page) Programming Language এবং Microsoft SQL Server ডেটাবেস ব্যবহার করা হলে, windows server এ হোস্টিং করতে হয়।
ওয়েবসাইটটি PHP (Hyper text Processor) Programming Language এবং My SQL Server ডেটাবেস ব্যবহার করে তৈরি করা হলে Linux Hosting এ হোস্টিং করতে হবে।বাংলাদেশে লিনাক্স হোস্টিং জনপ্রিয়।এর অন্যতম প্রধান কারণ হলো বাংলাদেশে PHP Developer এর সংখ্যা অনেক বেশি।
বিশ্ব জুড়ে বহু সংখ্যক প্রতিষ্ঠান আছে যারা টাকার বিনিময়ে কোন ওয়েবসাইটের জন্য প্রয়োজনীয় স্পেস বা জায়গা ভাড়া দেয়। তবে অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যারা বিনামূল্যে ওয়েবহোস্টিং সুবিধাপ্রদান করে থাকে। তবে বিনামূল্যের ওযেব হোস্টিং কিছু সীমাবদ্ধতা থাকে। www.freeservers.com এই সাইটে বিনা মুল্যে ওয়েবহোস্টিং সার্ভারের সন্ধান পাওয়া যায়।
ডোমেইন কেনার পর অবশ্যই হোস্টিং কিনতে হয়। প্রায় বেশির ভাগ কোম্পানীর হোস্টিং বিভিন্ন ধরনের এবং বিভিন্ন মানের হয়। তাই হোস্টিং কেনার সময় নিচের বিষয়গুলো অবশ্যই বিবেচনা করা দরকারঃ
ওয়েব সাইট করার আগে ডোমেইন হোস্টিং এর জন্য একটি বাজেট নির্ধারণ করা দরকার। ওয়েবসাইটটি কি ধরনের হবে এবং ডেইলি ভিজিটর সংখ্যাসহ ইত্যাদি বিষয়ে লক্ষ্য রেখে বাজেট প্ল্যান করতে হয়।
একটি ওয়েবসাইট কতটুকু জায়গা দরকার তা আগে থেকে নিধারন করে নেয়া দরকার। এবং অনুযায়ী হোস্টিং প্যাকেজ কিনতে হয়।
একটি ওয়েবসাইটে যে পরিমান ডাটা বা ফাইল থাকে এবং যে পরিমান ভিজিটর আসে তার উপর ব্যন্ডউইথ খরচ হয়। পার ভিজিটর এবং পার পেইজ ভিউ অনুযায়ী ব্যন্ডউইথ খরচ হতে থাকে। সুতরাং সাইটে ভিজিটর অনুযায়ী ব্যন্ডউইথ নিতে হয়। প্রয়োজনে আনলিমিটেডও নেয়া যেতে পারে।
হোস্টিং এর ক্ষেত্রে আপটাইম একটি খুবই গুরুত্বর্পূন বিষয়। হোস্টিং আপটাইম অনুযায়ী ওয়েবসাইট লাইভ থাকে। ৯৯.৯% এবং ১০০% আপটাইম দেখে হোস্টিং নির্বাচন করা উত্তম। তাই হোস্টিং কেনার আগে হোস্টিং আপটাইম চেক করে নিতে হবে। এজন্য কোম্পানীর ইউজেসপলিসি পেজ দেখা যেতে পারে।
হোস্টিং এর ক্ষেত্রে মানিব্যক গ্যারান্টি একটি গুরুত্ব বহ বিষয়। আনেক কোম্পনীই ৩০ দিন মানিব্যক গ্যারান্টি দিয়ে থাকে। সাধারনত মানিব্যক গ্যারান্টি দেয়া কোম্পানী গুলো সার্ভিস ভালো দিয়ে থাকে।
হোস্টিং কেনার আগে প্রতিষ্ঠানের অবস্থা জানে নেয়া দরকার। তাদের কাস্টমার কেয়ারে কথা বলে বা তাদের সার্ভিস ব্যবহার করে এমন কারোর সাথে কথা বলে ফিডব্যক নিতে পারলে ভালো হয়।
এখন কার সময়ে সাপোর্ট একটা গুরুত্ব পূর্ণ বিষয়। কোন সার্ভার যদি কখনো ডাউন হয় আর তা জানাতে এবং উত্তর পেতে কিছুদিন সময় লাগে তাহলে কয়েক লক্ষ ভিজিটর হারিয়ে যেতে পারে। তাই কোম্পানির সাপোর্ট কত দ্রুত তানিশ্চিত হয়ে নেয়া দরকার। হোস্টিং কোম্পানি কে জিজ্ঞাসা করে তাদের গ্যারান্টেড সাপোর্ট রেসপন্সটাইম কেমন এবং কি কি মাধ্যমে সাপোর্ট দিয়ে থাকে তা জেনে নিতে হবে।
কোন ধরনের হোস্টিং প্রয়োজন সেই অনুযায়ী অর্ডার করতে হবে এবং যে যে ফিচার প্রয়োজন তা পাওয়া যাবে কিনা সেই বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে নিতে হবে। হোস্টিং নেয়ার আগে কোম্পানির প্রদানকৃত ফিচার সমূহ সম্পর্কে জেনে নিতে হবে।
হোস্টিং এ কি কি হোস্ট করা যাবে এবং কত টুকু স্পেস, ব্যান্ডউইথ, সিপিউ ব্যবহার করা যাবে কিনা তা টার্মস অব সার্ভিসেস পেজ হতে জেনে নিতে হবে। ছোট প্যকেজ হলে সকল লিমিটেশন প্যাকেজে উল্লেখ থাকবে। কিন্তু আনলিমিটেড প্যাকেজ হলে লিমিটেশন জেনে নিতে হবে, প্যাকেজে উল্লেখ থাকবে না
সার্ভার ওভারলোড কিনা তা নিশ্চিত করে নেওয়া দরকার।হোস্টিং কোম্পানিকে সার্ভারের টোটাল কোর এবং প্রসেসর সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে জেনে নিতে হবে। যদি সার্ভার কোর ৮ টা হয় এবং সার্ভারলোড ৮ এর উপরে হয় তাহলে সার্ভার ওভার লোড। এবং ওভারলোড সার্ভারে সাইট হোস্ট করলে সাইট লোড হতে বেশি সময় নিবে। শেয়ারড হোস্টিং নেয়ার আগে সার্ভার কনফিগারেশন এবং সার্ভার লোড সম্পর্কে জেনে নিতে হবে।
এটি খুবই গুরুত্বপূণ একটি বিষয়। এই বিষয়টির ব্যপারে প্রতিষ্ঠানটিকে জিজ্ঞাস করে নিতে হবে। সাইটে যদি স্পার্ম জনিত সমস্যা হয় তাহলে বুঝতে হবে এব্যাপারে পর্যাপ্ত সুবিধা পাওয়া যাবে না। তাই আগে থেকেই জেনে নিতে হবেই- মেইল সুবিধা ও স্পার্ম সমাধান সর্ম্পকে।
উপরের উল্লেখিত বিষয়গুলো খেয়াল করে ডোমেইন এবং হোস্টিং কিনলে, ভালো মানের হোস্টিং এবং ডোমেইন সার্ভিস পাওয়া যাবে।